জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অ’ভিনেতা কাবিলা। তার প্রকৃত নাম নজরুল ইস’লাম শামীম। এ কৌতুক ও খল অ’ভিনেতা সুখ্যাতি পেয়েছেন চলচ্চিত্রে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় সংলাপ বলে।
তবে কিছু দিন কণ্ঠ শোনা যাবে না কাবিলার। তার কণ্ঠে শোনা যাবে না বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় মজার মজার কথা। অবশ্য এ অবস্থা থাকবে সাময়িক।কাবিলা দীর্ঘ দিন ধরে কণ্ঠনালির সমস্যায় ভুগছেন। তার কণ্ঠনালিতে একটি অ’পারেশন হয়েছে। যে কারণে চিকিৎসকের পরাম’র্শ খুব বেশি জরুরি না হলে তিনি এখন কথা বলতে পারবেন না। তবে ছয় মাস থেকে এক বছর পর কাবিলা আবার স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারবেন।
এ অবস্থায় বর্তমানে কোনো সিনেমা’র ডাবিং করছেন না কাবিলা। এখন তার অ’ভিনীত চরিত্রে কণ্ঠ দিয়ে দিচ্ছেন অন্য একজন। সম্প্রতি কাবিলা অ’ভিনীত ‘ইনোসেন্ট লাভ’- ছবির ডাবিং করছেন অন্য এক ব্যক্তি। রাইজিংবিডিকে এমনটাই জানিয়েছেন সিনেমা’র পরিচালক রানা।
এদিকে কাবিলার ছোটভাই আল-আমিন রোববার জানিয়েছেন, তিনি তার ভাইয়ের হয়ে ছবিতে কণ্ঠ দিচ্ছেন। এর আগে অন্য একজন কণ্ঠ দিলেও এখন থেকে তিনিই তা করবেন।আল-আমিন বলেন, তাদের বাড়ি বরিশাল। আর ওই অঞ্চলের বাসিন্দা ছাড়া অন্য এলাকার কারও পক্ষে যথাযথভাবে বরিশালের ভাষায় কথা বলতে বা ফুটিয়ে তুলতে সমস্যা হয়। তাই ভাই যতদিন সুস্থ না হয় ততদিন তিনি তার হয়ে কণ্ঠ দিয়ে যাবেন।
কাবিলা ১৯৮৮ সালে ‘যন্ত্র’ণা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অ’ভিনয় জীবন শুরু করেন। প্রথম দিকে তিনি নেতিবাচক চরিত্রে অ’ভিনয় করে জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও পরবর্তীতে কমেডিয়ান হিসেবে আরও বেশী জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
এক টাকার বউ, সবার উপরে তুমি, এবাদত, আমা’র প্রা’ণের প্রিয়া, জন্ম তোমা’র জন্য, আমাদের ছোট সাহেব, তুমি আমা’র প্রে’ম, বাবা আমা’র বাবা, তুমি স্বপ্ন তুমি সাধনা, তোমাকে বউ বানাবো, প্রে’মিক নাম্বার ওয়ান, ফুল অ্যান্ড ফাইনালসহ অনেক সিনেমায় অ’ভিনয় করেছেন এ অ’ভিনেতা।
কাবিলা ‘অন্ধকার’ চলচ্চিত্রে অ’ভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অ’ভিনেতা ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এ ছাড়া ভালোবাসা আজকাল সিনেমা’র জন্য ২০১৩ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির পুরস্কার লাভ করেন তিনি।