টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদী থেকে জেলের জালে ধরা পড়া ৪৪ কেজি ওজনের একটি বাঘাইর মাছ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। গত রোববার বিকেলে বিশাল ওজনের বাঘাইর মাছটি ভূঞাপুর মাছ বাজারে উঠলে স্থানীয় এক ব্যাংক কর্মকর্তা সেটি ৬০ হাজার টাকায় কিনে নেয়।
জানা গেছে, উপজেলার গোবিন্দাসীর বাসিন্দা বুদ্ধু ও বাবলু জাল নিয়ে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে যায়। এসময় তাদের জালে বিশাল আকৃতির এই বাঘাইর মাছটি ধরা পড়লে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাছটি ধরতে সক্ষম হলে মাছটি তারা ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের ভূঞাপুর মাছ বাজারে নিয়ে যায়।এতে মাছের দাম হাকা হয় ৮০ হাজার টাকা। এরপর দামদর শেষে ৪৪ কেজি ওজনের মাছটি ভূঞাপুর ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ ৬০ হাজার টাকায় কিনে নেন। এরআগে বৃহৎ আকারের বাঘাইর মাছটি দেখার জন্য বাজারে লোকজন ভিড় জমায়।মাছ ক্রেতা আব্দুল লতিফ বলেন, ভূঞাপুর মাছ বাজারে গিয়ে দেখি বিশাল ওজনের বাঘাইর মাছ নড়াচড়া করছে। দেখে ইচ্ছে হল কিনতে। পরে দরকষাকষি করে মাছটি ৬০ হাজার টাকায় ক্রয় করি।মাছ বিক্রেতা বাবলু বলেন, যমুনা নদীতে জাল ফেলেছিলাম। হঠাৎ দেখি জাল টেনে নিয়ে যাচ্ছে কিছু একটা। পরে কৌশলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাছটি ধরে টেনে তুলতে সক্ষম হই। পরে মাছটি বাজারে নিয়ে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। জীবনে প্রথম এতো বড় মাছ জালে ধরা পড়েছে।
সুস্থ থাকার জন্য চাই স্বা’স্থ্যকর জীবনপ’দ্ধতি। লি’’ঙ্গ সুস্থ রাখতেও তাই ত্যাগ করতে হবে বদভ্যাস। সঠিক না জেনে,উড়ো কথায় কান দিয়ে অনেকেই মনে করেন, ‘আমা’র হয়ত স’মস্যা আছে’। স’মস্যা কী, আদৌ স’মস্যা আছে কিনা সে বি’ষয়ে চিকিৎসকের স’’ঙ্গে কথা বলতেও বিব্রত বোধ করেন।স’মস্যা যদি মনেই হয় তাহলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। তবে বাজে অভ্যাসের কারণেও পুরু’ষের জননেন্দ্রিয়ের
কর্মক্ষ’মতার ক্ষ’তি ‘হতে পারে। এসব বদভ্যাস প্রতিনিয়ত করতে থাকলে পৌরষত্বের ধার কমতেই থাকবে।২. ধূ;মপান: বিটিশ জার্নাল অফ ইউরোলজি’তে প্রকাশিত ৮ স’প্তাহে ধূ;মপান ছাড়ার এক গবে’ষণায় বলা হয়,অংশগ্রহণকারীদের ২০ শতাংশ স্বীকার করেছেন যে তারা পু’রুষা;’ঙ্গ দৃঢ় হওয়ার স’মস্যায় ভুগছেন। ধূমপান ছাড়ার পর এদের মধ্যে ৭৫ শতাংশেরই যৌ’’নক্ষ’মতা বেড়েছে, পু’রুষা’ঙ্গ হয়েছে দৃঢ়৩.দাঁতের অ’পরিচ্ছন্নতা: শুনতে আজব মনে হলেও গবে’ষণা মতে, যার পু’রুষা’ঙ্গ ভালোভাবে দৃঢ় না হওয়ারস’মস্যা আছে,তার মাড়ির স’মস্যা থাকার আ’শঙ্কা সাধারণের তুলনায় সাতগু’ন বেশি। এর কারণ হল মুখেরব্যাকটেরিয়া সারা শ’রীরে প্রবাহিত হয় এবং তা পু’রুষা’ঙ্গের ধমনির উপর ক্ষ’তিকর প্রভাব ফে’লে।৫.অ’পর্যা’’প্ত স’’ঙ্গ’ম: স’’ঙ্গ’মের পরিমাণ দম্পতিভেদে বিভিন্ন। তবে ‘আমেরিকান জার্নাল অফ মেডিসিন’য়েরএকটি গবে’ষণায় দেখা গেছে, প্রতি স’প্তাহে কমপক্ষে একবার স’’ঙ্গ’মে লি’’প্ত না হলে পু’রুষা’ঙ্গ ভালোভাবে দৃঢ় না হওয়ার স’মস্যা দেখা দিতে পারে। স’প্তাহে তিনবার স’’ঙ্গ’ম হল আদর্শ৬.তরমুজ: ‘সিট্রুলাইন-আর্জিনাইন’ নামক উপাদানের ভালো উৎস তরমুজ। এর কাজই হল শ’রীরের যৌ’’নক্ষ’মতারউন্নতিসাধ’ন। উপাদানটি শ’রীরে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বাড়ায় এবং পু’রুষা’ঙ্গ দৃঢ় না হওয়ার স’মস্যা সারাতে স’ক্ষম। তাই প্রতিদিন তরমুজ খাওয়ার পরিমাণ বাড়াতে পারলে ভালো।৭.ট্রান্স ফ্যাট: শ’রীর প্রচুর ট্রান্স ফ্যাট গ্রহণ করলে শুক্রা’ণুর মান খা’রাপ ‘হতে থাকে। তাই শুক্রা’ণুর সুস্বা’স্থ্য ধর রাখতে স্বা’স্থ্যকর খাবার খেতে হবে এবং ট্রান্স ফ্যাট খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে।৮.অতিরিক্ত টেলিভিশন দেখা: ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিন’য়ে প্রকাশিত হার্ভার্ড স্কুল অফ পাবলিক হেলথ’য়ের করা একটি গবে’ষণায় দেখা দেখা গেছে স’প্তাহে ২০ ঘণ্টার বেশি সময় টেলিভিশন দেখা পুরু’ষের শুক্রা’ণুর মাত্রা ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে।
অবশেষে অভিনেত্রী, সংসদ নুসরাত জাহানকে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছেন স্বামী নিখিল জৈন। তবে এ বিষয় নিয়ে এখনই কিছু বলতে চান না নিখিল, যা বলার তিনি পরে বলবেন।ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়েছে, আজও নিখিলের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন নুসরাত। নিখিল তাতে কোনও দিন বাধা দেননি। যশের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো, একসঙ্গে রাজস্থানে, আজমিরে ছুটি কাটাতে যাওয়া কোনও কিছু নিয়েই কোনও দিন মুখ খোলেননি নিখিল।এমনকী সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও কোনোদিন নুসরাত-বিরোধী পোস্ট দিতে দেখা যায়নি নিখিলের। বরং ভালবাসা দিবসের দিন আকারে ইঙ্গিতে বলেছিলেন, নুসরত বদলে গেলেও তিনি একই রকম আছেন।অবশেষে বাধ্য হয়ে তিনি বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, বিচ্ছেদের পর নুসরাত মোটা অংকের খোরপোষ দাবি করবেন। কারণ তাঁর অতীতের সম্পর্কেও একই রকম ইতিহাস জানা যায়। বিয়ে না করলেও, বিচ্ছেদের সময় প্রেমিকদের সঙ্গে অনেক টাকার আদানপ্রদান হয়েছিল।তবে কি এই বিচ্ছেদ আরো গাঢ় করবে যশরত-নুসরাত সম্পর্ক? যশের সঙ্গেই কি নতুন অধ্যায় শুরু হবে নুসরাতের? এখন সেটাই দেখার।
‘কলেজের সেরা ছাত্র ছিলাম। জিপিএ-৫ যে পাবো, এটা নিশ্চিত ছিলাম। কিন্তু যখন রেজাল্ট প্রকাশিত হলো, তখন তো মাথায় হাত! এতো খারাপ রেজাল্ট আশা করিনি। এর আগে এসএসসিতেও পেয়েছি মাত্র ৩.৫৬। এর জন্য অনেক কেঁদেছি। ভাগ্যকে দোষ দিয়েছি। তবে এত কম ফলাফলেও যে প্রশাসন ক্যাডার পাবো, তা স্বপ্নেও ভাবিনি।’ কথাগুলো বলছিলেন ৩৬তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডার পাওয়া মো. মোশারফ হোসাইন। নরসিংদী সদর উপজেলার লোকবালী ইউনিয়নের একটি প্রত্যন্ত গ্রামবাখরনগর। এ গ্রামেই শৈশব-কৈশোর কাটে মোশারফের। বাখরনগর গ্রামে নেই রাস্তা-ঘাট, নেই কোনো ধরনের নাগরিক সুবিধা। মোশারফ হোসাইনই ওই গ্রামের প্রথম সন্তান হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেন। আরেকটা বিষয় এই ইউনিয়ন থেকে ইতোপূর্বে বিসিএস ক্যাডারে সুযোগ পাননি কেউই। এমনই এক প্রত্যন্ত এলাকার কৃষক মো. তাহের আলীর সন্তান মোশারফের সফলতা সবাইকেই তাক লাগিয়ে দিয়েছে। অক্ষরজ্ঞানহীন মা রেজিয়া বেগমের পরিশ্রমের ফসলআজকের মোশারফ। তিনি বলেন,’ আমার মা পড়াশোনা জানতেন না। তবে আমাকে পড়ানোর জন্য পাশের বাড়ির একজন নারীর কাছে গিয়ে আমার পড়া মুখস্ত করে আসতেন। এরপর আমাকে পড়াতেন। এভাবেই আমি পঞ্চম শ্রেণি পাস করি!’ আজকের অবস্থানে আসার পথ মসৃণ ছিল না মোশারফের। পরিবারের একমাত্র ছেলে মোশারফকে পড়াশোনার পাশাপাশি মা-বাবাকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করতে হতো। এরপরও পড়াশোনা চালিয়ে যান তিনি। পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে স্কুলেসোহেল রানা হানিফ ও কলেজে মোতাহের হোসেন স্যারের অবদনের কথা অকপটে স্বীকার করেন তিনি। এই দুইজন শিক্ষকের সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণায় মোশারফ আলোকবালী আ. মান্নান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং অধ্যাপক আব্দুল মজিদ কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা পানি ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সফলতার সাথে অনার্স (বিএসসি) এবং মাস্টার্স (এমএসসি) পাশ করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সাইন্স থেকে মাস্টার্স(এমপিএস), মার্কেটিং বিভাগ থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। পাশাপাশি আইএসআইটি থেকে কম্পিউটার সাইন্সে ডিপ্লোমা (ডিসিএসএ) করেন। পরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ওয়াটার রিসোর্স ডেভেলপমেন্টের ওপর মাস্টার্স (এমএসসি) ডিগ্রি অর্জন করেন। প্রশাসন ক্যাডার পাওয়ার পেছনের গল্প জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘পরিশ্রমের বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ থেকেই এই পরিশ্রম শুরু করতে হবে। প্রতিদিন একটু একটু পড়াশোনা করতে হবে। প্রয়োজনীয়বিষয়ের নোট রাখতে হবে।’ মোশারফ জানান, ‘শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও দৈনিক পড়াশোনা চালিয়ে যেতাম।’ তিনি মনে করেন বিসিএস এ সফলতার জন্য প্রধান বিষয় হলো প্রবল ইচ্ছা এবং পরিশ্রম। এ দুটো জিনিস নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারলে সাফল্য অবশ্যই ধরা দেবে। ৩৮তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার্থীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমত, প্রিলির জন্য পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বোর্ড বইগুলো শেষ করা। তারপর বাজারের গতানুগতিক যেকোনো প্রকাশনীর এক সেট বইয়ের ওপর দখল সৃষ্টি করা। দ্বিতীয়ত, লিখিত পরীক্ষার্থীদের জন্য পরামর্শ হলো পত্রিকা এবং বই থেকে তথ্যগুলো নোট আকারে লিখে রাখা, যা ভাইভাতেও সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।’
৪৪ কেজি ওজনের একটি মাছ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি
