মা’নবিক কাজের জন্য সমাজে বেশ পরিচিত রিকশা চালক তারা মিয়া। সহজ-সরল আর উদান মন মা’নসিক’তার দ’রিদ্র রিকশা চালক তারা মিয়া নেত্রকোনার দু’র্গাপুরে প্রতিটি মানুষের মনেই জা’য়গা করে নিয়েছেন। রিকশা চালিয়ে উ’পার্জিত অ’র্থের একটা অংশ বি’লিয়ে দেন সবার মাঝে।
কখনো শিক্ষার্থীদের বই, খাতা, কলম কিংবা খেলাধুলার সা’মগ্রী বিলিয়ে দিচ্ছেন দুই হাতে। আবার কখনোবা অ’স’হায় ও দ’রিদ্র মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দিচ্ছেন সাহায্য সেবা। ভিন্নধ’র্মী কাজের জন্য স্থানীয় প্র’শা’সন থেকে শুরু করে সা’মাজিক





যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ আলোচিত তিনি। প্রতিনিয়তই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আ’কা’ঙ্ক্ষা তার অন্যতম প্রধান একটি বৈশিষ্ট্য। উপজে’লার সদর ইউপির চকলেংগু’রা গ্রামের বা’সিন্দা তারা মিয়া।
বৃ’’দ্ধ মা, স্ত্রী ও তিন স’ন্তান নিয়ে তার ছোট্ট সংসার। রিকশাই তার একমাত্র আয়ের এর উৎস । এই আয় থেকেই চলে তার ছোট্ট সংসার ও ছেলে মেয়ে প’ড়াশোনা। তবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবার বিক্রি করলেন আয়-রোজগারের একমাত্র সম্ব’ল ব্যা’টারি চা’লিত অটো রি’কশাটি।





উদ্দেশ্য রিকশা বিক্রি টাকা দিয়ে শি’ক্ষার্থীদের মাঝে বি’তরণ করবেন আল কুরআন। সাম্প্রতি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয় তার রিকশাটি। রিকশা বিক্রির টাকা হাতে পেতে না পেতেই কিনে ফে’লেন প্রায় ৩০ হাজার কুরআন শরীফ।
পবিত্র এই কোরআন শরীফ নিয়েই বুধবার ছুটে যান পৌর শহরের দক্ষিণ পাড়ার মুজিবনগর রহমানিয়া দারুল ছুন্নাহ মা’দরাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে। মা’দরাসার ১২০ জন শিক্ষার্থীর হাতে পবিত্র আল-কুরআন তুলে দেন তারা মিয়া। ছো’টকালে প’ড়াশো’নার প্রতি যথেষ্ট আ’গ্রহ থাকা সত্ত্বেও অ’ভাব অ’নট’নের সংসারে খুব বেশি পড়ালেখা করতে পারেননি তারা মিয়া ও তার দুই ভাই।





তবে পড়াশোনা করতে না পড়ার আ’ক্ষেপ এখনো কাঁদায় তাকে। এই থেকেই দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে রিকশা চা’লিয়ে উ’পা’র্জিত অর্থের একটা অংশ সবসময়ই বিলিয়ে দেন শি’ক্ষা’র্থীদের পড়াশোনা ও খেলাধুলার সামগ্রী ক্রয় করেই। তবে ক’রো’না কা’লীন সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব’ন্ধ থাকায় অ’স’হায় ও দ’রিদ্র শি’ক্ষা’র্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন সাহায্য সেবা।





মুজিবনগর রহমানিয়া দারুল ছুন্নাহ মা’দরাসার সহকারী শিক্ষক মাওলানা মো. আব্দুর রউফ ডেইলি বাংলাদেশকে জানান, তারা মিয়া ভাই আমা’দের মা’দরাসার ১২০ জন শিক্ষার্থীর মাঝেপবিত্র আল-কোরআন বি’ত’রণ করেছেন। তার এই দান অনেক অ’স’হায় ও দ’রি’দ্র শিক্ষার্থীদের প’ড়াশোনা চালিয়ে যেতে অনেকটাই সা’হা’য্য করবে।
আমর’া তারা ভাইয়ের জন্য মহান আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করি। তিনি যেনো চিরকাল এভাবেই মানুষকে সাহায্য সেবা দিয়ে যেতে পারে। মা’নবিক রিকশা চালক তারা মিয়া ডেইলি বাংলাদেশকে জানান, আমা’র মত কেউ যেন টাকার অ’ভাবে পড়াশোনা ব’ন্ধ না হয় তার জন্য আমি সবসময়চেষ্টা করি শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু করার ।





আজ মা’দরাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন শরীফ বি’তরণ করেছি। এই মজিবনগর এলাকায় অনেক দ’রি’দ্র ও অ’সহায় শিক্ষার্থী থাকে তারা যেন দ্বী’নের পথে পড়াশোনা করতে পারে তার জন্যই রিকশা বিক্রি করে তাদের তাদের জন্য কোরআন
শরীফ কিনেছি । মহান আল্লাহ তায়ালা চাইলে আমি আবার নতুন রিকশা কিনতে পারবো।হয়তো কিছুদিন ক’ষ্ট করতে হবে। কিন্তু তারপরও কারো পড়াশোনা যেন ব’ন্ধ না হয় এই চেষ্টাই সব সময় করে যাব’ো।